গত পর্ব পর্যন্ত আমরা বাম পাশের ওয়াল এবং কলাম করেছিলাম। আজকে ডান পাশের 5” ওয়াল এবং কলাম করবো।
প্রথমে o দিয়ে offset কমান্ড একটিভ করতে হবে। অর্থাৎ o লিখে স্পেসবার দিতে হবে
এখন অটোক্যাড দুরত্ব চাইবে। দুরত্ব হলো দুইটি প্যারালাল লাইনের মধ্যবর্তি দুরুত্ব
এখানে আমরা 10’ লিখে স্পেসবার দিবো। কেননা এখানে দুই ওয়ালের মধ্যবর্তি ফাকা দুরত্ব হলো 2-6”+7-6”=10’-0”।
দুরত্ব দেয়ার পর আমাদেরকে সিলেক্ট করতে হবে যে কোন লাইনটা থেকে offset বা সমান্তরাল হবে। এখানে আমরা বাম পাশের ওয়ালের ডানের ওয়াল এর উপর মাউস দিয়ে ক্লিক করবো
ওয়ালের উপর ক্লিক করা হলে অটোক্যাড জানতে চাইবে যে কোন দিকে হবে। মনে রাখতে হবে প্রতিটা লাইনের (বাঁকা বা সোজা ) দুই পাশ থাকে। এখানে আমরা ডান পাশে মাউস দিয়ে ক্লিক করবো। অর্থাৎ লাইনের ডান পাশে যেকোন যায়গায় ক্লিক করলেই হবে।
এবার Esc বাটন চাপ দিয়ে কমান্ড থেকে বের হতে হবে
আবার স্পেসবার দিয়ে পুণরায় offset কমান্ড চালু করতে হবে। এবার Distance হিসাবে 5” দিতেহবে।
নতুন যেই লাইন তৈরি হলো offset এর মাধ্যমে। তার উপর ক্লিক করতে হবে। এবার side নির্বাচনের ক্ষেত্রে ডানে ক্লিক করতে হবে।
বি:দ্র: কোন সময় যদি ড্রয়িং সম্পুর্ণ দেখা না যায়, সেই ক্ষেত্রে জুম কমান্ড ব্যবহার করতে হবে। এখানে z স্পেস e স্পেস দিলে সকল ড্রয়িং দেখা যাবে। তবে কোন কমান্ড এক্টিভ থাকলে কাজ করবে না। তাই Esc দিয়ে কোন কমান্ড থেকে বের হয়ে এসে জুম কমান্ড দিতে হবে।
এবার আমরা কলাম তৈরি করবো। দুই ভাবে এই কলাম তৈরি করা যেতে পারে
এই ক্ষেত্র চতুর্ভুজ দিয়ে করা যায়। rec স্পেস দিয়ে এক্টিভ করতে হবে। এবার ডানের লাইনের উপরে শেষ মাথাতে ক্লিক করতে হবে। তারপর @12,15 লিখে স্পেস দিতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে কলাম লেয়ার এক্টিভ করে নিতে হবে। অথবে ড্রয়িং করার পর কলামটি সিলেক্ট করে উপরে রিবণমেনু থেকে লেয়ার হিসাবে কলাম দিলেও হবে
দ্বীতিয় পদ্ধতি হলো কপি করার মাধ্যমে। এই ক্ষেত্রে co লিখে স্পেস দিতে হবে। c দিলে হবে না, কেননা c তে সার্কেল বা বৃত্ত কমান্ড এক্টিভ হবে। এখন কপি কমান্ড এক্টিভ হলে , কি কি কপি হবে সেইগুলোতে মাউস দিয়ে ক্লিক করতে হবে। এখানে আমরা বামের কলামের উপর ক্লিক করবো। একসাথে অনেকগুলি বস্তু সিলেক্ট করা যায়। যতগুলি উপাদানের উপর ক্লিক করবো, ততগুলিই সিলেক্ট হবে। এখন স্পেসবার দিলে সিলেক্ট করার কাজ শেষ হয়ে গেলো। এখন আমাদের কোন বিন্দুর সাপেক্ষে কপি করতে হবে সেটা নির্বাচন করতে হবে। এখানে আমরা যেকোন যায়গাতেই ক্লিক করতে পারি। কোন একজায়গায় ক্লিক করে মাউস ডানের দিকে নিয়ে যাই। মনে রাখতে হবে ortho অন থাকতে হবে। অর্থাৎ মাউস সরাপর দেখা যাবে যে কলাম সোজা ডানে যাচ্ছে। যদি না যায় তাহলে বুঝতে হবে ortho অন নেই। তখন f8 বাটন চেপে অন করতে হবে। একবার চাপ দিলে অন এবং একবার চাচ দিলে অফ হয়। মাউস ডানে নেয়ার পর 10’-3” লিখে স্পেস দিতে হবে। এখানে 10’-3” দেয়ার কারণ হলে। দুই কলামের একই বিন্দুর মধ্যবর্তি দুরত্ব 10’-3”। যেমন 10”+2-6”+7-6”+5”-12”=10’-3”।
এখন ডানের 5” ওয়ালের নিচের ছোট লাইন দিতে হবে। এখানে লাইন কমান্ড দিয়ে লাইন দুইটার নিচের শেষ বিন্দুতে ক্লিক করতে হবে। প্রথমে বামেরটার ও তারপরে ডানেরটার। আবার ডানেরটাতে আগে ক্লিক করে বামেরটাতে পরে করলেও হবে।
এখন আমরা বারান্দার রেইলিং করবো।
লাইন কমান্ড দিয়ে ডানের ওয়ালের বামের লাইনের নিচের বিন্দতে প্রথমে ক্লিক করতে হবে। এরপর বামের ওয়ালের ডানের লাইনের নিচের বিন্দুতে ক্লিক করতে হবে। তারপর কমান্ড থেকে বের হয়ে আসতে হবে (Esc দিয়ে)।
এখন offset কমান্ড দিয়ে (o দিয়ে স্পেস) 2” অফসেট বা সমান্তরাল করতে হবে।
এখন বাকা রেইলিং করার কাজ করবো।
এই জন্য সার্কেল কমান্ড এক্টিভ করতে হবে।
কমান্ড এক্টিভ হলে উপরের লাইনের মধ্য বিন্দুতে ক্লিক করতে হবে। এর জন্য osnap এর মিডল পয়েন্ট এক্টিভ বা টিক চিহ্ন থাকতে হবে। সাত তম পর্বে এই osnap নিয়ে লিখেছিলাম। ওখান থেকে পুণরায় দেখে নিতে পারেন।
এখন আমাদের সার্কেল বা বৃত্তের রেডিয়াস দিতে হবে। এখানে 4’-8” এর অর্ধেক 2’-4” লিখে স্পেস দিতে হবে।
যেহেতু এটা একটা পুরো বৃত্ত। কিন্তু আমাদের দরকার অর্ধবৃত্ত। তাই এখন নতুন একটি কমান্ড এর সাহায্যে এই কাজ করতে হবে
এই কমান্ডের নাম ট্রীম। এই জন্য tr দিয়ে স্পেস দিতে হবে। শুধু t তে টেক্সট বা লেখার কমান্ড। তাই দুটি অক্ষর tr এ ট্রীম কমান্ড।
ট্রীম কমান্ড এরও বিভিন্ন অপশন বা অনুধাপ আছে।
এই কমান্ড একটিভ হলে প্রথমেই জানতে চাইবে যে কোন লাইনের সাপেক্ষে ট্রীম হবে বা কাটবে। অর্থাৎ কোনটা কাটবে সেটা নয়, কোনটা পর্যন্ত কাটবে সেইটা।
এখানে আমরা রেইলিং এর উপরের লাইনে কাটবো। কেননা এই লাইনের উপরের অর্শের বৃত্তের অংশটি আমাদের কেটে ফেলতে হবে। এই কাটার সীমানা নির্বাচনের জন্য এক বা একাধিক সিমানা লাইন/বৃত্ত/চতুর্ভুজ ইত্যাদি নির্বাচন করা যায়। তাই উপরের লাইনে ক্লিক করার পর স্পেস দিতে হবে। কেননা এখান সীমানা একটাই।
সীমানা নির্ধারণ হওয়ার পর কোনটা কাটতে হবে তা দেখিয়ে দিতে হবে। এখানে উপরের বৃত্তে ক্লিক করতে হবে। একাধিক বস্তুর অংশ কাটতে হলে একাধিক বস্তু সিলেক্ট / নির্বাচণ করতে হবে।
এখন Esc দিয়ে বরে হয়ে আসতে হবে।
এখন এই বৃত্তের ভেতরের দিকে 2” অফসেট করতে হবে। অফসেট নিশ্চয় এখন একা একাই পারবেন। তারপরেও বলছি, এই পর্বের একদম শুরুতেই অফসেট কিভাবে করতে হয় তা বলা হয়েছে।
এখানে বৃত্তটি কেটেছে। কিন্তু বৃত্তের মধ্যে কিন্তু রেইলিং এর উপরের লাইনের অংশ থেকে গেছে।
সুতরাং এখন আবার ট্রীম কমান্ড একটিভ করতে হবে। এখন সীমানা হিসাবে ভেতরের অর্ধবৃত্তটির উপর ক্লিক করতে হবে।
স্পেস দিয়ে এখন কোনটা কাটবো তা দেখিয়ে দিতে হবে।
যেহেহু সীমানা হিসাবে অর্ধবৃত্ত ব্যবহার করা হয়েছে, এখানে লাইনের কাটার জন্য তিনটি বিষয় আছে।
অর্ধবৃত্তের বামের অংশ
অর্ধবৃত্তের মাঝের অংশ বা মধ্যবর্তি অংশ
অর্ধবৃত্তের ডানের অংশ
এখানে আমরা অর্ধবৃত্তের মধ্যবর্তি অংশের দুইটি লাইনের মধ্যে উপরের লাইনের উপর ক্লিক করবো। উল্লেখ্য উপরের লাইনের অংশে, নিচের লাইনের অংশে নয়।
ট্রীম কমান্ডের সাহায্যে এখন পুরোনো অর্ধবৃত্তের মাঝের থেকে রেইলিং এর নিচের লাইনের অংশ কেটে ফেলতে হবে বা ট্রীম করতে হবে।
এখানে দেখা যাচ্ছে পুরোনো বৃত্তের কিছু অংশ রেইলিং এর দুই লাইনের মধ্যে থেকে গিয়েছে।এটাকেউ ট্রীম করতে হবে।
এই ট্রীম দুইভাবে করা যায়
এই ক্ষেত্র ট্রীম কমান্ড একটিভ করে সীমানা হিসাবে বৃত্তের ডানের ও বামের লাইন যা রেইলিং এর নিচের লাইন তা নির্বাচন করতে হবে। তারপর বৃত্তটির বামের ও ডানের শেষ অংশগুলি যা রেইলিং এর নিচের লাইনের উপরের দিকে আছে, ঐ দুইটার উপর ক্লিক করতে হেব পর্যায়ক্রমে।
অথবা ট্রীম কমান্ড দিয়ে পুণরায় স্পেস দিতে হবে। তারপর বৃত্তটির যেই অংশদুইটা কাটতে হবে তাদের উপর পর্যায়ক্রমে ক্লিক করতে হবে। সীমানা নির্ধাণ না করে পুণরায় স্পেস দিলে, যেটা কাটতে হেব তার কোন বিন্দুতে ক্লিক করলে, এই দুই দিকের প্রথম দু্ইটি সীমানাকে সংক্রিয়ভাবে সীমানা ধরে ট্রীম হবে।
বি:দ্র: রেইলিং এর কাজ শুরুর পুর্বে রেইলিং বা বারান্দা বা যেই লেয়ারে হবে, সেই লেয়ার অবশ্যই কারেন্ট বা সচল করে নিতে হবে। যাতে করে ড্রয়িং করলে সরাসরি ঐ লেয়ারেই হয়। la দিয়ে লেয়ার কমান্ডের মাধ্যমে বা রিবন মেনু থেকে এই কাজ করা যায়।