শক্তি পরীক্ষা:ইট প্রধানত চাপ পীড়ন বহন করে। এজন্য ইটের শক্তি বলতে চাপ শক্তিকে বুঝায়।চাপ পরীক্ষা যন্ত্রে ৬-৮ টি নমুনা ইটের চাপ সহ্য করার ক্ষমতা পরিমাপ করা হয় এবং গড় করে গ্রহনযোগ্য মান নির্ণয় করা হয়।উৎকৃষ্ট ১ম শ্রেনীর ইটের বিচূর্ণ শক্তি ৪০০-৭০০ টন/বর্গমিটার। বিচুর্ণন শক্তির ১/৮ অংশ গাথুনীর নিরাপদ শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।ইটের বিচুর্ণন শক্তির ১/৪০ অংশ নিরাপদ শীয়ার পীড়ন হিসেবে ধরা হয়।তবে ইটের গাথুণীর নিরাপদ চাপ পীড়নের প্রায়১/১০ অংশ টান পীড়ন বহনে অক্ষম হলেও ইট টান পীড়নের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয় না্।দ্বিতীয় শ্রেণীর ইটের বিচুর্ণন শক্তি ১০০-৪০০ টন/বর্গমিটার।
পানি শোষ্যতার মাত্রা পরীক্ষা : নমুনা ইটগুলোর (ক)কক্ষ উষ্ণতায় ওজন নেয়া হয়।(খ)কক্ষ উষ্ণতায় ২৪ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে ওজন নেয়া হয়।(গ)৫ ঘন্টা সিদ্ধ করে পুরো-রাত্র ঠান্ডা করে ওজন নেয়া হয়।উৎকৃষ্ট ইটের পানি শোষন উহার শুষ্ক অবস্থায় ওজনে ১/৫-১/৭ অংশের অধিক হওয়া উচিত নয়।
লবনের মাত্রা নির্ধারণ: ইটে দ্রবণীয় লবণের পরিমাণ জানার জন্য সল্ট এনালাইসিসি করা হয়। এর মাত্রা ০.৫%-২.৫% এর অধিক হওয়া উচিত নয়, তবে অধিক হলে ইট লোনাক্রান্ত হবে এর ফলে গাথুণী স্থায়ীভাবে আর্দ্র ও স্যাঁতস্যাঁতে হবে।