(৩৩) নগর উন্নয়ন কমিটি :
ঢাকা মহানগরীর অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম সমন্বয়, পরিকল্পনা প্রণয়ন, পরিবহন ব্যবস্থা উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ বা বাস্তবায়নে সার্বিক সহায়তার জন্য সরকার নির্বাহী আদেশ বা প্রজ্ঞাপন জারীর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মকর্তা, বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ এবং বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি নগর উন্নয়ন কমিটি গঠন করিবে ।
(৩৪) নগর উন্নয়ন কমিটির গঠন :
নিন্মবর্ণিত ব্যক্তিবর্গকে লইয়া নগর উন্নয়ন কমিটি গঠিত হইবে, যথা :
(ক) সরকার কতৃক নিয়োগকৃত কর্মকর্তা-
১) সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়,
২) চেয়ারম্যান, রাজউক,
৩) প্রধান স্থপতি, স্থাপত্য অধিদপ্তর, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়,
৪) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা সিটি করপোরেশন,
(খ)নিন্মলিখিত পেশাজীবী সংস্থার সভাপতি/সহ-সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক-
১) ইন্সটিটিউট অব আর্কিটেক্টস্ বাংলাদেশ,
২) বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্স,
৩) ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ,
(গ) ২ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক (স্থাপত্য/পরিকল্পনা/প্রকৌশল/পরিবেশ বিষয়ক)
(ঘ) সুশীল সমাজের ৩(তিন) জন প্রতিনিধি,
(ঙ) সভাপতি/সহ-সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, রিহ্যাব ।
নোট ১ : বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণের মেয়াদকাল হইবে ২(দুই) বছর ।
নোট ২ : কমিটি প্রয়োজনে যে কোন বিশেষজ্ঞ পেশাজীবী বা ব্যক্তিকে কমিটির সভায় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ করিতে পারিবে।
(৩৫) নগর উন্নয়ন কমিটির কার্যাবলী :
নগর উন্নয়ন কমিটির কার্যাবলী হইবে নিন্মরূপ, যথা :
(ক) একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি হিসাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার সকল উন্নয়নমূলক এবং উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কাজের জন্য নীতি ও ভবিষৎ রূপরেখা বিষয়ে সুপারিশ করা,
(খ) ইমারত নির্মাণ বিধিমালার সহিত নির্মাণ ও উন্নয়ন কাজের সংগতি তদারকী করা,
(গ) এই বিধিমালার আওতায় নিষ্পওিযোগ্য নয় এমন সকল বিষয়ে কার্যকর দিকনির্দেশনা প্রদান করা,
(ঘ) রাজউকের মহাপরিকল্পনাভুক্ত এলাকায় সকল ইমারত নির্মাণ কর্মকান্ডের গুণগত মান, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা,
(ঙ) বিধিমালা বাস্তবায়নে ন্যায় ও সমতা বিধান করা এবং
(চ) আপিল নিষ্পওি করা ।
(৩৬) নগর উন্নয়ন কমিটি কতৃক আপিল নিষ্পওি :
১) কতৃপক্ষের সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্থ যে কোন ব্যক্তি নগর নগর উন্নয়ন কমিটির কাছে বিধিমালায় বর্ণিত ক্ষেএগুলিতে লিখিত সুবিচার চাহিয়া আবেদন করিতে পারিবে ।
২) লিখিত আবেদন গ্রহনের পর কমিটি আবেদনকারীর অনুপস্থিতিতে বিধিমালায় বর্ণিত বিধি অনুযায়ী আবেদন নিষ্পওি করিবে ।
৩) কমিটি উপযুক্ত বিবেচনা করিলে প্রাপ্তি স্বীকার পএসহ রেজিস্টার্ড ডাকযোগে আবেদনকারীকে কমিটির সভায় তথ্যাদি উপস্থাপনের নির্দেশ দিতে পারিবে এবং এইরূপ নির্দেশের ক্ষেএে আবেদনকারীকে যুক্তিসঙ্গত সময় দিতে হইবে ।
৪) উপ-বিধি (৩) অনুযায়ী নির্দেশ প্রাপ্তির পর আবেদনকারী অথবা তাহার প্রতিনিধি কমিটির সভায় উপস্থিত থাকিতে পারিবে।
৫) উপ-বিধি (৪) অনুযায়ী আবেদনকারী বা তাহার প্রতিনিধি কমিটির সভায় অনুপস্থিত থাকিলে বা তথ্যাদি উপস্থাপন করিতে ব্যর্থ হইলে কমিটি আবেদনকারীর অনুপস্থিতিতে আপিল নিষ্পওি করিতে পারিবে অথবা সভা মুলতবী ঘোষণা করিতে পারিবে এবং এইরূপ মূলতবী কেবলমাএ একবার করা যাইবে ।
৬) আপিল নিষ্পওি করিবার ক্ষেএে কমিটি আবেদন অনুমোদন, শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন অথবা বাতিলের যে কোন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবে ।
৭) নগর উন্নয়ন কমিটির সিদ্ধান্ত কতৃপক্ষের জন্য চূড়ান্ত ও বাধ্যতামূলক বলিয়া গণ্য হইবে ।
৮) কমিটি উপ-বিধি (৬) অনুযায়ী গৃহীত সিদ্ধান্ত কতৃপক্ষকে জানাইবে এবং কতৃপক্ষ ১০(দশ) দিনের মধ্যে রেজিস্টার্ড ডাক মারফত আবেদনকারীকে কমিটির সিদ্ধান্ত জানাইয়া দিবে ।
(৩৭) নগর উন্নয়ন কমিটি কতৃক নির্মাণ ও উন্নয়ন কাজের তদারকী ও নিয়ন্ত্রণ :
১) অভিযোগের ভিওিতে বা স্বেচ্ছাপ্রণোদিতভাবে কমিটি এই বিধিমালার আওতায় নির্মিত বা নির্মাণাধীন ইমারতসমূহ নিয়মিতভাবে উপযুক্ত পেশাজীবি দিয়া পরিদর্শন ও পরীক্ষা করাইতে পারিবে ।
২) অনুমোদন প্রাপ্ত নির্মাণ নকশার সহিত বাস্তব নির্মাণের কোন স্বেচ্ছাকৃত অসঙ্গতি ধরা পড়িলে উক্ত প্রকল্পের আবেদনকারী ও দায়ী পরিকল্পনাবিদ/স্থপতি/প্রকৌশলী/জমির আইনগত মালিক, যে বা যাহার জন্য প্রযোজ্য তাহার/তাহাদের যথোপযুক্ত শাস্তি প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ লইতে কতৃপক্ষ বরাবর সুপারিশ করিবে যাহা কতৃপক্ষের জন্য পালনীয় হইবে ।
৩) উপবিধি (২) এ বর্ণিত অসংগতি তদারকিতে গাফিলতির দায়ে দায়ী কতৃপক্ষের তদারকী কর্মকর্তাদের যথোপযুক্ত শাস্তি প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করিতে কতৃপক্ষ বরাবর সুপারিশ করিবে যাহা কতৃপক্ষের জন্য অবশ্য পালনীয় হইবে ।
(৩৮) নগর উন্নয়ন কমিটি কতৃক কতৃপক্ষকে উপদেশ প্রদান :
কমিটি কতৃপক্ষের নিকট হইতে কোন বিষয়ে উপদেশের জন্য বা বিধিমালার যে কোন বিষয়ে ব্যাখ্যা বা বিশেষনের জন্য লিখিত অনুরোধ প্রাপ্ত হইলে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবি প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনা ও মতামতের ভিওিতে ৩০ (এিশ) দিনের মধ্যে তাহা প্রদান করিবে ।
(৩৯) নগর উন্নয়ন কমিটির সভা :
১) কমিটি তাহার কার্য সম্পাদনের জন্য প্রতিমাসে কমপক্ষে একবার সভায় মিলিত হইবে ।
২) কমিটির প্রথম বৈঠকে সদস্যবৃন্দসহ একজন সভাপতি, দুইজন সহ-সভাপতি ও সদস্য সচিব মনোনীত করিবে ।
৩) কমিটির যে কোন সভার কোরামের জন্য নুন্যতম ৫(পাঁচ) জন সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন হইবে, যাহাদের মধ্যে কমপক্ষে একজন সভাপতি বা সহ-সভাপতি পদমর্যাদার হইবে ।
৪) কমিটির প্রত্যেক সদস্য কেবলমাএ একটি ভোট দিতে পারিবে ।
৫) সভার যে কোন সিদ্ধান্ত সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হইবে, তবে উভয়পক্ষে সমসংখ্যক ভোটের ক্ষেএে সভার সভাপতি অতিরিক্ত একটি ভোট প্রদান করিতে পারিবে ।
(৪০) নগর উন্নয়ন কমিটি কতৃক উপ-কমিটি গঠন :
১) নগর উন্নয়ন কমিটি তাহার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করিবার জন্য বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করিতে পারিবে ।
২) উপ-কমিটি সমূহের সদস্যবৃন্দ বিধি ৩৪ এ বর্ণিত শ্রেণীসমূহ হইতে নিয়োগপ্রাপ্ত হইবে ।
৩) উপ-কমিটির সিদ্ধান্ত সমূহ নগর উন্নয়ন কমিটির নিকট পাঠাইতে হইবে ।
৪) কমিটি উপ-কমিটি সমূহের যে কোন সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে গ্রহণ অথবা সম্পূর্ণ বাতিল করিতে পারিবে ।
চতুর্থ অধ্যায় : কারিগরী ব্যক্তির তালিকা, শ্রেনীবিন্যাস ইত্যাদি
(৪১) কারিগরী ব্যক্তির তালিকা প্রণয়ন :
১) এই বিধিমালা অনুযায়ী নকশা প্রণয়ন, নির্মাণ কাজের তও্বাবধায়ন, রিপোর্ট তৈরী এবং অন্য কোন কাজে জড়িত পেশাজীবি ব্যক্তিকে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট পেশাজীবি প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্ত হইতে হইবে ।
২) সংশ্লিষ্ট পেশাজীবি প্রতিষ্ঠান পেশাজীবিদের প্রয়োজনীয় তথ্যসহ হালনাগাদ তালিকা কতৃপক্ষকে সরবরাহ করিবে ।
৩) পেশাজীবি প্রতিষ্ঠান কতৃক প্রেরিত সংশ্লিষ্ট পেশাজীবির নমুনা স্বাক্ষর, সদ্য তোলা পার্সপোর্ট সাইজ ছবি, যোগাযোগের ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর, ইত্যাদি সম্বলিত হালনাগাদ তালিকা কতৃপক্ষ সংরক্ষণ করিবে ।
৪) এই বিধিমালা অনুযায়ী প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নকশা প্রণয়ন, পরিদর্শন বা তদারকী, স্বাক্ষর প্রদান এবং ঐ নকশার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যসহ রিপোর্ট তৈরি করিবার জন্য তালিকাভুক্ত পেশাজীবিগণ ক্ষমতা প্রাপ্ত হইবে ।
(৪২) তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন :
১) কারিগরী ব্যক্তি হিসাবে তালিকাভূক্তির জন্য কোন পেশাজীবিকে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবি প্রতিষ্ঠানের নিকট তাহার সদ্য তোলা পার্সপোর্ট সাইজ ছবি, যোগাযোগের ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর, নমুনা স্বাক্ষর এবং উক্ত পেশাজীবি প্রতিষ্ঠানের নিয়মকানুন অনুসরণপূর্বক আবেদন করিতে হইবে ।
২) বিধি ৪৩ এর বিধান সাপেক্ষে, সংশ্লিষ্ট পেশাজীবি প্রতিষ্ঠান আবেদনকারীর প্রয়োজনীয় যোগ্যতা বিবেচনাপূর্বক তালিকাভূক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে ।
৩) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, তালিকাভুক্তির আবেদনের জন্য কোন পেশাজীবিকে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবি প্রতিষ্ঠানের সদস্য হইতে হইবে ।
(৪৩) কারিগরী ব্যক্তির শ্রেণীবিন্যাস :
১) ইমারতের ধরণ বা ব্যবহার অনুযায়ী কারিগরী বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ যাহারা এই বিধিমালা অনুযায়ী নকশা প্রণয়ন, স্বাক্ষর ও রিপোর্ট তৈরী করিতে পারিবে তাহাদের নূন্যতম যোগ্যতাসহ শ্রেণীবিন্যাস সারণী-১ এ বর্ণিত হইল :
সারণী-১
ইমারতের নকশা ও অন্যান্য দলিলে ক্ষেএমত ক্ষমতাপ্রাপ্ত স্বাক্ষরকারী পেশাজীবিদের শ্রেনী বিন্যাস :
ইমারতের উচ্চতা (তলা) | ইমারতের মেঝের সর্বোচ্চ ক্ষেএফল (বর্গমিটার) | ইমারতের ধরণ | কারিগরী ব্যক্তিবর্গের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা | বিভিন্ন কাজে স্বাক্ষর করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত পেশাজীবি বা কারিগরী অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ |
৫ | ১০০০ | A | সংশ্লিষ্ট পেশাজীবি প্রতিষ্ঠানের সদস্য বা সহযোগী সদস্য বা প্রার্থী সদস্য এবং নকশা প্রনয়ন ও অন্যান্য দায়িত্ব পালনের জন্য তালিকাভূক্ত | (১) ভূমি জরিপ : পুরকৌশলী, ডিপ্লোমা প্রকৌশলী বা সনদপ্রাপ্ত সার্ভেয়ার, (২) সয়েল টেষ্ট রিপোর্ট : জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বা পুরকৌশলী বা মৃওিকা বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, (৩) স্থাপত্য নকশা : স্থপতি বা পুরকৌশলী ও নূন্যতম ৫ (পাঁচ) বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন স্থাপত্যে ডিপ্লোমাধারী, (৪) কাঠামোগত নকশা : পুরকৌশলী বা স্ট্রাকচারাল ইজ্ঞ্জিনিয়ার, (৫) প্লাম্বিং ও স্যানিটারী ডিজাইন : প্লাম্বিং ইজ্ঞ্জিনিয়ার, (৬) যান্ত্রিক নকশা : যন্ত্র প্রকৌশলী, (৭) বৈদ্যুতিক নকশা : তড়িৎ প্রকৌশলী, (৮) নির্মাণ তদারকী : সুপারভাইজার, স্থপতি ও প্রকৌশলী, (৯) সমাপ্তি প্রতিবেদন : দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থপতি ও প্রকৌশলী |
যে কোন সংখ্যক | ৭৫০০ | A, B, C, F2, F3, G এবং H | সংশ্লিষ্ট পেশাজীবি প্রতিষ্ঠানের সদস্য এবং নকশা প্রনয়ন ও অন্যান্য দায়িত্ব পালনের জন্য তালিকাভুক্ত | (১) ভূমি জরিপ : পুরকৌশলী, ডিপ্লোমা প্রকৌশলী বা সনদপ্রাপ্ত সার্ভেয়ার, (২) সয়েল টেষ্ট রিপোর্ট : জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বা পুরকৌশলী বা মৃওিকা বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, (৩) স্থাপত্য নকশা : স্থপতি (৪) কাঠামোগত নকশা : পুরকৌশলী বা স্ট্রাকচারাল ইজ্ঞ্জিনিয়ার, (৫) প্লাম্বিং ও স্যানিটারী ডিজাইন : প্লাম্বিং ইজ্ঞ্জিনিয়ার, (৬) যান্ত্রিক নকশা : যন্ত্র প্রকৌশলী, (৭) বৈদ্যুতিক নকশা : তড়িৎ প্রকৌশলী, (৮) নির্মাণ তদারকী : সুপারভাইজার, স্থপতি ও প্রকৌশলী, (৯) সমাপ্তি প্রতিবেদন : দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থপতি ও প্রকৌশলী |
যে কোন সংখ্যক | যে কোন ক্ষেএফল বিশিষ্ট ইমারত | সকল শ্রেণীর ইমারত সমূহ | নূন্যতম ৮ (আট) বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ও সংশ্লিষ্ট পেশাজীবি প্রতিষ্ঠানের সদস্য/ফেলো এবং নকশা প্রনয়ন ও অন্যান্য দায়িত্ব পালনের জন্য তালিকাভুক্ত | (১) ভূমি জরিপ : পুরকৌশলী, ডিপ্লোমা প্রকৌশলী বা সনদপ্রাপ্ত সার্ভেয়ার, (২) সয়েল টেষ্ট রিপোর্ট : জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বা পুরকৌশলী বা মৃওিকা বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, (৩) স্থাপত্য নকশা : স্থপতি (৪) কাঠামোগত নকশা : পুরকৌশলী বা স্ট্রাকচারাল ইজ্ঞ্জিনিয়ার, (৫) প্লাম্বিং ও স্যানিটারী ডিজাইন : প্লাম্বিং ইজ্ঞ্জিনিয়ার, (৬) যান্ত্রিক নকশা : যন্ত্র প্রকৌশলী, (৭) বৈদ্যুতিক নকশা : তড়িৎ প্রকৌশলী, (৮) নির্মাণ তদারকী : সুপারভাইজার, স্থপতি ও প্রকৌশলী, (৯) সমাপ্তি প্রতিবেদন : দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থপতি ও প্রকৌশলী |
২) কতৃপক্ষ উপ-বিধি (১) এ উল্লিখিত ও সংশ্লিষ্ট পেশাজীবি প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্ত ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কাহারও প্রস্তুতকৃত নকশা বা রিপোর্ট অনুমোদনের জন্য বিবেচনা করিবে না ।
৩) একটি ইমারত বা প্রকল্পের বিভিন্ন স্তর, বিভিন্ন ধরনের নকশা বা রিপোর্ট বা নির্মাণকার্যে নিয়োজিত দলগতভাবে বা কোন প্রতিষ্ঠানের পরে কর্মরত কারিগরী বিষয়ে অভিজ্ঞ একাধিক ব্যক্তি থাকিলে তাহাদের প্রত্যেকের আলাদাভাবে এই বিধিমালার আওতায় এই সকল কাজ করিবার যোগ্যতা থাকিতে হইবে ।
৪) আবেদনকারী সংশ্লিষ্ট কারিগরী ব্যক্তিকে তাহার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজে নিয়োগ করিবেন এবং একটি প্রকল্পে যদি কখনো একাধিক কারিগরী ব্যক্তি নিযুক্ত করা হয়, সেইক্ষেএে স্থপতি প্রকল্পের স্থাপত্য নকশা ও বাস্তবায়নের সমন্বয় সাধন করিবে এবং নির্মাণকালীন ও নির্মাণ শেষে স্থপতি ও প্রকৌশলী তাহাদের নিজ নিজ ক্ষেএের নির্মাণ নকশা ও সমাপ্তি প্রতিবেদন প্রনয়ণের দায়িত্বে থাকিবে ।
৫) সংশ্লিষ্ট পেশাজীবি প্রতিষ্ঠান তালিকাভূক্ত পেশাজীবি ব্যক্তির কাজ ও সেবার মান, পেশাগত সততা ও দক্ষতা নিশ্চিত করিবার দায়িত্ব পালন করিবে এবং পেশাজীবি প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সদস্যপদ সংক্রান্ত তথ্য যথা:
সদস্যপদ স্থগিতকরণ, বিলোপকরণ, অবসান বা কোন গৃহীত শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিষয়ে কতৃপক্ষকে অবহিত করিবে ।
৬) যদি কোন পেশাজীবি প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্ত পেশাজীবি ব্যক্তি এই বিধিমালার কোন বিধান লঙ্ঘন করে, তাহা হইলে কতৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট পেশাজীবি প্রতিষ্ঠানকে ইহা জানাইবে এবং পেশাজীবি প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুসারে সংশ্লিষ্ট দায়ী ব্যক্তির বিরূদ্ধে উক্ত পেশাজীবি প্রতিষ্ঠান যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
পঞ্চম অধ্যায় : ইমারত নির্মাণ নিয়মাবলী
(৪৪)ইমারত নির্মাণ নিয়মাবলী :
যে কোন ধরণের ইমারত বা প্রকল্প নির্মাণে আবশ্যিক অনাচ্ছাদিত স্থান, সীমানা হইতে সেটব্যাক, ভূমি আচ্ছাদন, FAR ইত্যাদি সংক্রান্ত বিধিসমূহ অনুসরণ করিতে হইবে এবং ইমারত ব্যবহারের ধরণ, সড়কের প্রশস্ততা, যানবাহন চলাচলের ঘনত্ব, জনঘনত্ব, পার্কিং চাহিদা, ইউটিলিটি সার্ভিসসমূহ, অগ্নিনির্বাপণ ইত্যাদির ভিওিতে এই নিয়মাবলীর প্রয়োগ নির্ণীত হইবে ।
(৪৫) আবশ্যিক অনাচ্ছাদিত স্থান :
প্রতিটি প্লটে বিদ্যমান জমির সীমানা হইতে বিধি ৪৬ অনুযায়ী সেটব্যাক ও বিধি ৫০ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ভূমি আচ্ছাদন বহির্ভূত খোলা জায়গা আবশ্যিক অনাচ্ছাদিত স্থান হিসাবে থাকিতে হইবে ।
(৪৬) সীমানা হইতে সেটব্যাক :
১) প্রতিটি ইমারতের সন্মুখে, পার্শ্বে এবং পশ্চাতে সেটব্যাক বা উন্মুক্ত স্থান থাকিতে হইবে এবং প্লটের সন্মুখ, পার্শ্ব এবং পশ্চাৎ এর সংজ্ঞার জন্য পরিশিষ্ট-৫ এর ব্যাখ্যা প্রযোজ্য হইবে ।
২) এই বিধিমালার অন্যান্য শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে, ইমারতের সন্মুখে, পশ্চাতে ও পার্শ্বে সারণী-২ এ প্রদও হারে সেটব্যাক বা উন্মুক্ত স্থান রাখিতে হইবে :
সারণী-২
ইমারতের সেটব্যাক
ইমারতের উচ্চতা : ৩৩মিটার অথবা ১০ তলা পর্যন্ত | ||||
প্লটের পরিমাণ | নূন্যতম সেটব্যাক | |||
বর্গমিটার | কাঠা | সন্মুখ (মিটার) | পশ্চাৎ (মিটার) | প্রতিপার্শ্ব (মিটার) |
১৩৪ বঃমিঃ বা ইহার নীচে | ২ কাঠা বা ইহার নীচে | ১.৫০ | ১.০০ | ০.৮০ |
১৩৪ বঃমিঃ এর উর্ধ্ব হইতে ২০১ বঃমিঃ পর্যন্ত | ২ কাঠার উর্ধ্ব হইতে ৩ কাঠা | ১.৫০ | ১.০০ | ১.০০ |
২০১ বঃমিঃ এর উর্ধ্ব হইতে ২৬৮ বঃমিঃ পর্যন্ত | ৩ কাঠার উর্ধ্ব হইতে ৪ কাঠা | ১.৫০ | ১.৫০ | ১.০০ |
২৬৮ বঃমিঃ এর উর্ধ্ব হইতে ৩৩৫ বঃমিঃ পর্যন্ত | ৪ কাঠার উর্ধ্ব হইতে ৫ কাঠা | ১.৫০ | ২.০০ | ১.২৫ |
৩৩৫ বঃমিঃ এর উর্ধ্ব হইতে ৪০২ বঃমিঃ পর্যন্ত | ৫ কাঠার উর্ধ্ব হইতে ৬ কাঠা | ১.৫০ | ২.০০ | ১.২৫ |
৪০২ বঃমিঃ এর উর্ধ্ব হইতে ৪৬৯ বঃমিঃ পর্যন্ত | ৬ কাঠার উর্ধ্ব হইতে ৭ কাঠা | ১.৫০ | ২.০০ | ১.২৫ |
৪৬৯ বঃমিঃ এর উর্ধ্ব হইতে ৫৩৬ বঃমিঃ পর্যন্ত | ৭ কাঠার উর্ধ্ব হইতে ৮ কাঠা | ১.৫০ | ২.০০ | ১.২৫ |
৫৩৬ বঃমিঃ এর উর্ধ্ব হইতে ৬০৩ বঃমিঃ পর্যন্ত | ৮ কাঠার উর্ধ্ব হইতে ৯ কাঠা | ১.৫০ | ২.০০ | ১.২৫ |
৬০৩ বঃমিঃ এর উর্ধ্ব হইতে ৬৭০ বঃমিঃ পর্যন্ত | ৯ কাঠার উর্ধ্ব হইতে ১০ কাঠা | ১.৫০ | ২.০০ | ১.২৫ |
৬৭০ বঃমিঃ এর উর্ধ্ব হইতে ৮০৪ বঃমিঃ পর্যন্ত | ১০ কাঠার উর্ধ্ব হইতে ১২ কাঠা | ১.৫০ | ২.০০ | ১.২৫ |
৮০৪ বঃমিঃ এর উর্ধ্ব হইতে ৯৩৮ বঃমিঃ পর্যন্ত | ১২ কাঠার উর্ধ্ব হইতে ১৪ কাঠা | ১.৫০ | ২.০০ | ১.২৫ |
৯৩৮ বঃমিঃ এর উর্ধ্ব হইতে ১০৭২ বঃমিঃ পর্যন্ত | ১৪ কাঠার উর্ধ্ব হইতে ১৬ কাঠা | ১.৫০ | ২.০০ | ১.২৫ |
১০৭২ বঃমিঃ এর উর্ধ্ব হইতে ১২০৬ বঃমিঃ পর্যন্ত | ১৬ কাঠার উর্ধ্ব হইতে ১৮ কাঠা | ১.৫০ | ২.০০ | ১.২৫ |
১২০৬ বঃমিঃ এর উর্ধ্ব হইতে ১৩৪০ বঃমিঃ পর্যন্ত | ১৮ কাঠার উর্ধ্ব হইতে ২০ কাঠা | ১.৫০ | ২.০০ | ১.২৫ |
১৩৪০ বঃমিঃ এর উর্ধ্ব | ২০ কাঠার উর্ধ্বে | ১.৫০ | ২.০০ | ১.২৫ |
ইমারতের উচ্চতা : ৩৩মিটার বা ১০ তলার বেশী | ||||
যে কোন পরিমাণ | যে কোন পরিমাণ | ১.৫০ | ৩.০০ | ৩.০০ |
৩) রাস্তার প্রস্থ যাহাই থাকুক না কেন, বিদ্যমান রাস্তার কেন্দ্র হইতে ৪.৫ মিটার অথবা প্লটের সীমানা হইতে ১.৫ মিটার দূরত্বের মধ্যে যাহা অধিক (রাস্তার ভবিষৎ বর্ধিতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি বাদ দিয়া) তাহার চাইতে কম দূরত্বে কোন ইমারত নির্মাণ করা যাইবে না ।
৪) নির্দিষ্ট কোন রাস্তার ক্ষেএে “ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান” (DAP) অনুযায়ী কতৃপক্ষ সন্মুখভাগের সেটব্যাকের ক্ষেএে ভিন্নতর বা অধিকতর দূরত্বের প্রস্তাবনা বা নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে ।
৫) আবশ্যিক অনাচ্ছাদিত স্থানের (Mandatory Open Space) জন্য সর্বোচ্চ ভূমি আচ্ছাদন (Ground Coverage) কার্যকর করিবার ক্ষেএে নিন্মলিখিত প্রায়োগিক শৈথিল্য ও ব্যাপ্তি প্রযোজ্য হইবে, যথা :
(ক) একটি কাঠামোর চারিপার্শ্বের আবশ্যিক অনাচ্ছাদিত স্থানের সর্বোচ্চ ৫০% পাকা (Paved) হইতে পারিবে এবং এই ৫০% জায়গায় প্লটের ফিনিসড্ গ্রাউন্ড লেভেল হইতে ৪ মিটার বা পিন্থহইতে ৩ মিটার (যাহা কম) উচ্চতায় ছাদ হইতে পারিবে এবং এই আবৃত পরিসর (ছাদ) কোনভাবেই সেটব্যাক স্পেস এর মধ্যে তৈরি করা যাইবে না এবং শুধুমাএ পার্কিং ও নিরাপওা বুথ ব্যতীত অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যাইবে না, তবে বিধি অনুযায়ী একএিত বা বিচ্ছিন্নভাবে আবশ্যিক অনাচ্ছাদিত স্থানের সর্বমোট ৫০% মাটি রাখিবার শর্ত মানিয়া সন্মুখ, পার্শ্ব ও পশ্চাৎ সেটব্যাক স্পেস এর সম্পূর্ণ অংশ পার্কিং স্পেস এর অংশ হইতে পারিবে; রাস্তার দিকে সীমানা দেয়াল সংলগ্ন করিয়া ফিনিসড্ গ্রাউন্ড লেভেল হইতে সর্বোচ্চ ২.৫ মিটার উঁচু এবং সর্বোচ্চ ৫ বর্গমিটার ক্ষেএফল বিশিষ্ট গার্ডরুম (নিরাপওা পোস্ট) করা যাইবে;
(খ) দফা (ক) এ উল্লিখিত আবৃত পরিসর নিরেট দেওয়াল দিয়া (নিরাপওা পোস্ট ব্যতীত) বন্ধ করা যাইবে না এবং জমির অভ্যন্তরে বায়ু চলাচলের সুব্যবস্থা থাকিতে হইবে এবং উক্ত আবৃত অংশের ছাদ শুধুমাএ টেরেস বা টেরেস গার্ডেন হিসাবে ব্যবহার করা যাইবে এবং এই ছাদ কোনভাবেই স্থায়ী বা অস্থায়ী কাঠামো দ্বারা আবৃত হইতে পারিবেনা;
(গ) আবশ্যিক অনাচ্ছাদিত স্থানের নূন্যতম ৫০% সর্বক্ষেএেই ভূমি সমতলে উন্মুক্ত রাখিতে হইবে, যাহাতে বৃষ্টির পানি শোষিত হইতে পারে এবং এই ভূমি সমতলে অনাচ্ছাদিত ৫০% অংশের মধ্যে বেসমেন্ট কোনভাবেই বর্ধিত হইতে পারিবেনা;
(ঘ) ইমারতের দ্বিতীয় বা তদূর্ধ্ব তলার সন্মুখের ব্যালকনিসমূহ নিন্মলিখিত শর্ত সাপেক্ষে ভূমি আচ্ছাদনের পরিমাণের অতিরিক্ত হিসাবে ছাড় পাইবে, যথা :
(অ) ব্যালকনিতে ব্যবহৃত বেষ্টনীর উচ্চতা সর্বোচ্চ ১২০০ মি. মি. হইবে;
(আ) ব্যালকনির ক্ষেএফল ইমারতের সন্মুখের প্রস্থের ৩০% এবং ১ মিটার ব্যালকনির প্রস্থ বিবেচনা করিলে যাহা হয় তাহার অধিক হইতে পারিবেনা;
(ই) কোন অবস্থাতেই ইমারতের সেটব্যাকের মধ্যে এই ব্যালকনি বর্ধিত হইতে পারিবেনা;
(ঈ) উল্লিখিত ব্যালকনিসমূহ সংস্থানের ক্ষেএে প্রতি তলার হিসাবে প্রাপ্য ব্যালকনিসমূহের ক্ষেএফলের সমষ্টি দ্বিতীয় বা তদূর্ধ্ব তলা হইতে যে কোন একটি বা একাধিক ব্যালকনি হিসাবে বন্টন করা যাইবে;
(ঙ) ছাদের বর্ধিতাংশ (কার্নিশ) ইমারতের মূল অংশ হইতে সর্বোচ্চ ১ মিটার পর্যন্ত ইমারতের নূন্যতম সেটব্যাক এর মধ্যে বর্ধিত করা যাইবে এবং এইরূপ বর্ধন কেবলমাএ ইমারতের সন্মুখে করা যাইবে এবং কোনভাবে ভূমি সমতল হইতে ৮ মিটারের নিচে হইবে না;
(চ) সেটব্যাক এর অতিরিক্ত স্পেস ছাড়িয়া ইমারত নির্মাণ করিলে কার্নিশের মাপ ইমারত হইতে সন্মুখ দিকে সর্বোচ্চ ২ মি. পর্যন্ত করা যাইবে এবং ইহার অধিক বৃদ্ধি করিলে অতিরিক্ত অংশ ভূমি আচ্ছাদনের পরিমাপের অন্তর্ভূক্ত হইবে, তবে কোন অবস্থাতেই সেটব্যাকের মধ্যে বর্ধিতকরণের পূর্বোক্ত শর্ত ভঙ্গ করা যাইবে না;
(ছ) প্রকৃতি হইতে সুরক্ষার জন্য সানসেড বা ছাদের বর্ধিতাংশসমূহ ইমারতের সীমারেখা হইতে ইমারতের সেটব্যাক এর মধ্যে সর্বোচ্চ ০.৫মিটার পর্যন্ত বর্ধিত করা যাইবে; কিন্তু কোনরূপ বেষ্টনী দিয়া ঘেরা যাইবে না; বারান্দা বা ব্যালকনি হিসাবে ব্যবহৃত হইতে পারিবে না; রক্ষণাবেক্ষণ ব্যতীত অন্য কোন কারণে প্রবেশযোগ্য হইবে না; এবং পার্শ্বে ও পশ্চাতে সেটব্যাক ১.২৫ মিটারের কম হইলে উক্ত বর্ধিতাংশ ০.৩ মিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখিতে হইবে;
(জ) সেটব্যাক এর অতিরিক্ত জায়গা ছাড়িয়া ইমারত নির্মাণ করিলে সানসেড বা ছাদের বর্ধিতাংশের মাপ ইমারত হইতে সর্বোচ্চ ১.৫মি. পর্যন্ত করা যাইবে; ইহার অধিক বৃদ্ধি করিলে অতিরিক্ত অংশ ভূমি আচ্ছাদনের পরিমাপের অন্তর্ভূক্ত হইবে, তবে কোন অবস্থাতেই দফা (ছ) এ বর্ণিত শর্ত ভঙ্গ করা যাইবে না;
(ঝ) ইমারতের কোন তলে, ইহার বহিঃদেওয়ালে বাইরে সেটব্যাক বা আবশ্যিক অনাচ্ছাদিত স্থানের মধ্যে স্টোর, এসি ও টয়লেট ডাক্ট (Duct), অথবা এই ধরণের ব্যবহার সম্বলিত কোন প্রকার বর্ধিতাংশ নির্মাণ করা যাইবে না;
(ঞ) বহিঃদেওয়ালের বাইরে সানশেড বরাবর সর্বোচ্চ ১০০ মিঃ মিঃ পূর্ব ভার্টিক্যাল ফিন (Fin) নির্মাণ করা যাইবে যাহা কোনভাবেই বাতাস প্রবাহের ক্ষেএে কোনরূপ বাধা সৃষ্টি করিতে পারিবে না;
(ট) নিকটবর্তী প্লটের দিকে উন্মুক্ত করিয়া যান্ত্রিক বায়ুচলাচল ব্যবস্থা, একজাষ্ট (Exhaust) বা ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরী করা যাইবে না; এবং
(ঠ) মেঝের পরিমাণ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বর্ধিতাংশ কোনভাবে ব্যবহার করা যাইবে না ।
(৬) একই প্লটে অবস্থিত সম্পূর্ণ আলাদা কাঠামো বিশিষ্ট দুই বা ততোধিক ইমারতের সন্মুখ ও পশ্চাতের মধ্যবর্তী সেটব্যাক ৪ (চার) মিটার এবং পার্শ্বদেশের মধ্যবর্তী সেটব্যাক ২.৫ (আড়াই) মিটার হইতে হইবে ।
(৭) আলো-বাতাসের সংস্থানসহ বিধি অনুযায়ী নকশা প্রণয়ন করা হইলে একই প্লটে একাধিক ভবন সংযুক্ত হইতে পারিবে, তবে এই ক্ষেএে ইমারত সমূহের ক্ষুদ্রতর বাহুর সংশ্লিষ্ট দৈর্ঘের নূন্যতম ৩০% অংশ সংযুক্ত থাকিতে হইবে ।
(৮) শুধুমাএ উক্ত প্লটেই শেষ হইয়াছে এইরূপ রাস্তা সম্বলিত জমিতে প্রস্তাবিত ইমারত সন্মুখের সীমানা হইতে নূন্যতম ২ (দুই) মিটার দূরত্বে নির্মিত হইতে হইবে ।
(৪৭) বেসমেন্ট এর সেটব্যাক :
১) বেসমেন্ট আবশ্যিক অনাচ্ছাদিত স্থানের মধ্যে বর্ধিত করা যাইবে, উক্ত বর্ধিতাংশ আবশ্যিক অনাচ্ছাদিত স্থানের সর্বোচ্চ ৫০% পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকিবে এবং আবশ্যিক অনাচ্ছাদিত স্থানের বাকী ৫০% ভূমি সমতলেও উন্মুক্ত থাকিতে হইবে ।
২) প্রতিবেশীর সম্পওির নিরাপওা নিশ্চিত করিয়া বেসমেন্ট সীমানা দেয়াল পর্যন্ত বর্ধিত করা যাইবে, তবে রাস্তার দিকে নূন্যতম সেটব্যাক ছাড়িয়া বেসমেন্ট নির্মাণ করিতে হইবে ।
৩) সংযুক্ত প্লটের কোনরকম ক্ষতি না করিয়া বেসমেন্টের ছাদ সংযুক্ত রাস্তার সর্বোচ্চ তল হইতে সর্বোচ্চ ১.৫ মিটার উপরে নির্মাণ করা যাইবে, এই ১.৫ মিটার উচ্চতায় উঠা বা নামার জন্য প্রযোজ্য সিঁড়ি বা রেম্প সীমানা দেয়াল সংলগ্ন করিয়া ইমারতের সেটব্যাক অংশেও নির্মাণ করা যাইবে, তবে এই সিঁড়ি বা রেম্প এর উপর সেটব্যাক অংশটুকুতে স্থায়ী বা অস্থায়ী আচ্ছাদন তৈরী করা যাইবেনা এবং এই রেম্প সংস্থানের জন্য বিধি ৫৬ (৮) ও ৫৬ (৯) প্রযোজ্য হইবে ।
(৪৮) প্লট বিভাজন :
১) কোন খালি বা ইমারতসহ প্লট দুই বা ততোধিক প্লটে বিভক্ত করিবার ক্ষেএে, প্রতিটি উপ-প্লটের ও ইমারতের জন্য রাস্তা এবং যানবাহন প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করিতে হইবে ।
২) প্লট উপ-বিভক্তিকরণের ফলে নতুনভাবে সৃষ্ট প্লটসমূহে বিদ্যমান ইমারত বা ইমারতসমূহ পৃথকভাবে সেটব্যাক, ভূমি আচ্ছাদন এবং FAR এর নিয়ম অনুযায়ী থাকিতে হইবে ।
৩) প্লট উপ-বিভক্তিকরণের ক্ষেএে শুধুমাএ একটি প্লটের জন্য ব্যক্তিগত রাস্তার পরিমাপ নূন্যতম ৩.৬৫ মিটার চওড়া হইতে হইবে এবং উক্ত ব্যতিক্রম শুধুমাএ আবাসিক ব্যবহারের ক্ষেএে প্রযোজ্য হইবে ।
৪) উপ-বিধি (৩) এ উল্লিখিত রাস্তা ৩৩ মিটারের অধিক দীর্ঘ না হইলে উক্ত প্লটের FAR নির্ধারণের জন্য মূল রাস্তার প্রস্থ বিবেচিত হইবে, তবে এই ক্ষেএে ঐ নিজস্ব সংযোগকারী রাস্তার ক্ষেএফল FAR ও ভূমি আচ্ছাদন নির্ধারণের ক্ষেএে বিবেচ্য হইবে না ।
৫) উপ-বিধি (৩) এ উল্লিখিত রাস্তা ৩৩ মিটারের অধিক দীর্ঘ হইলে বিধি ৫১ (৯) অনুযায়ী প্রদেয় FAR প্রযোজ্য হইবে ।
৬) আবাসিক ব্যবহার ব্যতীত অন্যান্য ব্যবহারের ক্ষেএে প্লট উপ-বিভক্তিকরণের জন্য রাস্তার পরিমাপ নূন্যতম ৬ মিটার হইতে হইবে ।
৭) পরিকল্পিত আবাসিক এলাকাতে প্লট বিভাজনের ক্ষেএে প্লটের আয়তন কমপক্ষে ৫(পাঁচ) কাঠা অথবা ঐ এলাকায় একক প্লট হিসাবে কতৃপক্ষ কতৃক বরাদ্দকৃত সর্বনিন্ম আয়তনের প্লট অপেক্ষা (যাহা কম) ক্ষুদ্র আয়তনের প্লট হিসাবে বিভাজন করা যাইবে না ।
৮) একাধিক প্লটের ক্ষেএে নিজস্ব বা এজমালী রাস্তা ৬ মিটার প্রশস্ত হইতে হইবে ।
৯) বেসরকারী প্রতিষ্ঠান কতৃক উন্নীত বা সৃষ্ট আবাসিক এলাকায় প্লটের ক্ষেএে রাস্তার প্রশস্ততা বেসরকারী আবাসিক প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা-২০০৪ অথবা এতদসংক্রান্ত অন্য কোন বিধিমালার বিধানানুযায়ী হইতে হইবে ।
(৪৯) প্লট একএীকরণ :
উন্নয়ন প্রকল্পে একাধিক প্লট একএীকরণ করা যাইবে, তবে পৃথক পৃথক প্লট হওয়া সও্বেও একএীকৃত প্লটসমূহকে একটি অখন্ড প্লট হিসেবে গণ্য করিতে হইবে । ঐ অখন্ড প্লটের ক্ষেএে জমির ক্ষেএফল ও সংলগ্ন রাস্তার প্রশস্ততা (যাহা কম) বিবেচনা করিয়া FAR ও ভূমি আচ্ছাদন নির্ধারণ করা হইবে ।
(৫০) সর্বোচ্চ অনুমোদনযোগ্য ভূমি আচ্ছাদন (Maximum Ground Coverage) :
১) ইমারত সমূহের সর্বোচ্চ অনুমোদিত ভূমি আচ্ছাদন প্লটের পরিমাণ, ইমারতের ব্যবহার এবং রাস্তার প্রস্থের উপর ভিওি করিয়া নির্ধারিত হইবে ।
২) বিধি ৪৬ (৫) এ উল্লিখিত অংশসমূহ ছাড়া ইমারতের কোন অংশ সর্বোচ্চ অনুমোদিত ভূমি আচ্ছাদন এর বাহিরে, আবশ্যিক অনাচ্ছাদিত স্থানের মধ্যে বর্ধিত করা যাইবে না ।
৩) আবশ্যিক অনাচ্ছাদিত স্থান ইমারত উন্নয়নের অবিভাজ্য অংশ হিসাবে এবং ইমারত অনুমোদনের বিধান হিসাবে বিবেচিত হইবে এবং পৃথকভাবে বিভক্তি, বিক্রয় বা উন্নয়নযোগ্য হইবে না ।