লোহা , পর্ব-১
Md. Ashraful Haque, 17-Nov-2012
ভিউ : 90384
লোহা (Iron)
বর্তমান বিশ্বে বহুল ব্যবহৃত একটি নির্মাণ সামগ্রী হলো লোহা। শক্তি, ওজন, কাঠিন্যের মাত্রা, ঘাতসহতা ইত্যাদি গুণাবলী বিবেচনায় এর ব্যবহার যুক্তিসঙ্গত। দালানের কাঠামো, জাহাজের কাঠামো, ট্রাস, রেল সড়ক, শিল্পকারখানা, যন্ত্রপাতি, মেশিনারিজ, কংক্রিট রি-ইনফোর্সমেন্ট ইত্যদি ক্ষেত্রে লোহার ব্যবহার ব্যপক। লোহা খনিজ পদার্থ। এটি আকরিক থেকে পাওয়া যায়। এ অধ্যায়ে এম. এস. রড সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
লোহার শ্রেণিবিভাগ
রাসায়নিক উপাদান, যান্ত্রিক ধর্ম ও উৎপাদনের প্রক্রিয়ার ওপর ভিত্তি করে লোহা চার প্রকার। যথা-
- পিগ আয়রন (Pig Iron)
- ঢালাই লোহা (Cast Iron)
- পেটা লোহা (Wrought Iron)
- ইস্পাত (Steel)
কার্বনের পরিমানের ওপর ভিত্তি করে ইস্পাত প্রধানত দুই প্রকার। যথা-
- নিম্ন কার্বন স্টিল (Low Carbon Steel / Mild Steel)
- উচ্চ কার্বন স্টিল (High Carbon Steel / Hard Steel)
নমনীয় ইস্পাত (Mild Steel)
ইস্পাতের শ্রেণিবিভাগ গুলোর মধ্যে নমনীয় ইস্পাত একটি। এতে কার্বনের পরিমান ০.১৫% থেকে ০.৩০%। এগুলো ঝালাই করা যায়, কিন্তু শক্ততা বাড়ানো যায় না। এগুলো বিদ্যুৎ পরিবাহী ও নমনীয়। এগুলোতে সহজে মরিচা ধরে। এগুলো সহজে বাঁকা করা এবং কাটা যায়। টান ও চাপ লোড বহনে সমান শক্তিশালী। নমনীয় ইস্পাত বিভিন্ন বানিজ্যিক আকারে তৈরী করা হয়। এম. এস. রড তারমধ্যে একটি।
এম. এস. রড
কংক্রিট চাপবল বহন করতে পারে, কিন্তু টানবল বহন করতে পারে না। কংক্রিট কাঠামোতে টান বল প্রতিরোধ করতে কার্বন স্টিল দিয়ে তৈরি যে রড ব্যবহার করা হয় তাকে রি-বার বা রি-ইনফোর্সিং বার বা মাইলড স্টিল রড সংক্ষেপে এম. এস. রড বলে।
এম. এস রডের শ্রেণিবিভাগ
নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত লোহা (এম. এস. রড) উৎপাদনের কাঁচামাল, আকার-আকৃতি, গ্রেড ও ব্যবহার অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। যেমন-
ক) উৎপাদনের কাঁচামাল অনুযায়ী
- বিলেট স্টিল (Billet steel) : খনি হতে প্রাপ্ত লোহার আকরিক হতে তৈরি হলে তাকে বিলেট বলে।
- স্ক্রাপ স্টিল (Scrap steel) : জাহাজ ভাঙ্গা, পুরাতন লোহা ইত্যাদি গলিয়ে তৈরি করা হয়। বিলেটের তুলনায় কম শক্তিশালী । প্রান্ত বা মধ্যভাগে চিড় বা ফাটল দেখা যায়।
খ) ব্যবহার অনুযায়ী
- রি-ইনফরসিং স্টিল (Reinforcing steel)
- প্রি-স্ট্রেসিং স্টিল (Pre-stresssing steel)
গ) আকৃতি অনুযায়ী
- রাউন্ড বার (Round bar)
- স্কয়ার বার (Square bar)
- ফ্লাট বার (Flat bar)
রাউন্ড বার আবার দুই প্রকার । যথা-
- মসৃণ বার (Plain bar)
- অমসৃণ বার
ক) ডিফর্মড বার (Deformed bar)
খ) মোচড়ানো বার (Twisted bar)
ঘ) গ্রেড অনুযায়ী
- ৪০ গ্রেড (Grade 40 / 300W)
- ৬০ গ্রেড (Grade 60 / 400W)
- ৭৫ গ্রেড (Grade 75 / 500W)