সদ্য প্রস্তুতকৃত কংক্রিটে আটকে পড়া বাতাস এবং অতিরিক্ত পানি বের করে দিয়ে কংক্রিটকে দৃঢ় করতে ভাইব্রেটর ব্যবহার করা হয়। কংক্রিট ভাইব্রেটরকে দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
- বাহ্যিক ভাইব্রেটর (External Vibrators) : এ ধরনের ভাইব্রেটর ব্রাকেট (bracket) ক্ল্যাম্প (clamp) দ্বারা ফর্মওয়ার্কের সাথে আটকানো হয় এবং ফর্মওয়ার্কে নাড়া দিয়ে কংক্রিটে ভাইব্রেশন বা কম্পন সৃষ্টি করা হয়।
- অভ্যন্তরীণ ভাইব্রেটর (Internal Vibrators) : এতে একটি স্টিলের সিলিন্ডার থাকে যা দেখতে অনেকটা ক্রিকেট খেলার ব্যাটের হাতলের আকার। একে ভাইব্রেটিং হেড বলে। হেডটি সম্পূণরূপে কংক্রিটে ডুবিয়ে দিয়ে অপর প্রান্ত একটি হোজ দ্বারা ইঞ্জিনের সাথে যুক্ত করা হয়। ফলে কম্পন সৃষ্টি হয় এবং কংক্রিটের দৃঢ়করণের কাজ সম্পন্ন করা হয়।

চিত্র : অভ্যন্তরীণ ভাইব্রেটর
ভাইব্রেটর যন্ত্রের ব্যবহার
- ভাইব্রেশন কংক্রিটের চাপ শক্তি বৃদ্ধি করে এবং কংক্রিট ও রডের মধ্যকার বন্ধন মজবুত করে এবং কংক্রিটের প্রবেশ্যতা কমিয়ে আনে।
- হানি কম্বিং, কোল্ড জয়েন্ট, সেগ্রিগেশন এবং আটকে পড়া বাতাসের পরিমাণ কমিয়ে আনে।
- কংক্রিট তরলের মতো আচরণ করে।
- বৃহদাকার কাজে সমতল পৃষ্ঠের উপর ভাইব্রেশন করতে অভ্যন্তরীণ ভাইব্রেটর এবং কম পুরুত্বের ছোট কাজে বাহ্যিক ভাইব্রেটর ব্যবহার করা হয়।
ভাইব্রেটর ব্যবহারের নিয়ম
- ভাইব্রেটরকে উলম্বভাবে কংক্রিটে দ্রুত প্রবেশ করাতে হবে এবং আগের ঢালা কংক্রিটে ৬ ইঞ্চি পরিমাণ প্রবেশ করাতে হবে।
- ৫ থেকে ১৫ সেকেন্ড কংক্রিটের মধ্যে ধরে রাখতে হবে।
- ভাইব্রেটর এমন গতিতে তুলতে হবে যেন ১২০ সে.মি কংক্রিট থেকে তুলতে ১৫ সেকেন্ড সময় লাগে, বা প্রতি ১ সেকেন্ডে ৮ সে.মি পরিমাণ তুলতে হবে।

চিত্র : কংক্রিট ভাইব্রেশন করার নিয়ম
ভাইব্রেশন বন্ধ করার সময়
- কংক্রিট পৃষ্ঠ যখন ঔজ্জ্বল্যতা পাবে।
- বাতাসের বড় বুদ্বুদ বের হবে না।
- ভাইব্রেটরের শব্দের সুর পরিবর্তন হবে।
- ভাইব্রেশন ক্রিয়ার মধ্যে পরিবর্তন অনুভূত হবে।
ভাইব্রেটর ব্যবহারে সতর্কতা
- ভাইব্রেটরকে কংক্রিটের বাইরে বেশিক্ষণ চালানো যাবে না। কারণ অতিরিক্ত গরমে গলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
- ভাইব্রেটরকে শক্তি দিয়ে বা ধাক্কা দিয়ে কংক্রিটে ঢুকানো যাবে না, এতে এটি উলম্ব থাকবে না এবং রডে আটকে যেতে পারে।