ফ্লাশ ডোর
Md. Ashraful Haque, 11-Apr-2008
ভিউ : 67097
কাচামাল
কাঠের ফ্রেমের উপরে এমডিএফ অথবা ঐ ধরণের বোর্ড দিয়ে মোড়ানো হয়। দুই দিকেই এই বোর্ড দিয়ে মোড়ানো হয়। ভেতরের ফাকা অংশ সাধারণত বোর্ড দিয়ে ভরাট করা হয়। উপরে টিক প্লাই দিয়ে ফিনিশিং দেয়া হয়।
এই দরজা লাগানোর জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র
খুব সহজেই এই দরজা লাগানো যায়। এবং এর জন্য নিচের জিনিষগুলো ব্যবহার করা হয় (তবে বাধ্যতামুলক নয়):
রক্ষনাবেক্ষন
যেহেতু এই দরজা মসৃন তল থাকে। এতে তেমন কোন ময়লা জমা হয় না। পলিশ বা রং থাকার কারণে এই দরজা নষ্টও হয় কম। তবে যেই বিষয়টি খেয়াল রাখা জরুরী তা হলো শুকনা কাপড় দিয়ে মুছতে হবে। পানি থেকে একে নিরাপদে রাখতে হবে। পানি এই দরজার বড় শত্রু।
সুবিধা
সাটার এর পুরুত্ব
সাধারণত ৩৫ মিলিমিটার বা ১.৫ ইঞ্চি হয়ে থাকে। তবে অর্ডার দিলে অন্য সাইজেও পাওয়া যায়।
অসুবিধা
ব্যবহার
সুধামাত্র বিল্ডিং এর অভ্যন্তরে এর ব্যবহার করতে হবে। বাইরের দিকে যেখানে রোদ বা বৃষ্টি হয় সেখানে ব্যবহার করা যাবে না। বাথরুমেও এর ব্যবহার করা যাবে না। তবে বর্তমানে বিশেষ ধরণের পলিশ বা অন্য ফিনিশিং দিয়ে টয়লেটে ব্যবহার করা যায়।
ডিজাইন এবং উপাদানের খুব বেশি পরিবর্তন করা যায় না। সাধারণত ঢালাও তল ব্যবহার করা হয়।
কিভাবে লাগাতে হয়
এর লাগানোর পদ্ধতি সাধারণ দরজার মতই। ফ্রেম এর সাথে হিঞ্জ দিয়ে লাগানে হয়। তবে গ্লাস ডোর এর ক্লোজার ব্যবহার করেও লাগানো যায়।
ফিনিশিং
সাধারণত রং করা হয় এই দরজাতে। তবে পলিশও করা হয়। সেই ক্ষত্রে টিক ভিনিয়ার বা প্লাই ব্যবহার করতে হবে।
ময়লা প্রতিরোধক
সাধরণত ময়লা ধরে না কারণ এই সাটার প্লেইন হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে বিভিন্ন ডিজাইনে তৈরি হওয়াতে ময়লা ধরার সম্ভাবনা থাকে।
আবহাওয়ার প্রভাব
আবহার কারণে দৈর্ঘ্য প্রসারণ হয়না। যার কারণে গরমে সাইজ বড় হওয়া বা শিতে ছোট হয়না।
স্ট্রেন্থ বা শক্তি
ওজনের তুলনায় বেশ মজবুত হয়।
ব্যবাহার করার জন্য প্রয়োজনীয় সময়
যেহেতু এটি মার্কেটে সরবরাহ অনেক। তাই যখন প্রয়োজন তখনই এটি এনে ব্যবহার করা যায়। এর জন্য কোন অতিরিক্ত সময় লাগে না। তবে যদি বে-সাইজের দরজা হয় তাহলে অর্ডার দিতে হয় এবং এর জন্য ১৫ থেকে ৩০ দিন সময় লাগে।
ঘুনে ধরা
এই দরজা সাধারণত ঘুণে ধরে না
মন্তব্য সমুহ